মসজিদ পরিষ্কার করছিলেন ইমাম, পুকুরে ডুবে ২ সন্তানের মৃত্যু

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় মসজিদের পুকুরে ডুবে আপন দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের গাজীরবাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাতে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহতরা হলেন- কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের গাজীরবাগ গ্রামের হাসান আলী জমাদার বাড়ির ইমাম মো. হারুনুর রশিদের ছেলে হামিম হোসেন হামদান (৭) ও মো. হাসান (৬)। জানা যায়, মো. হারুনুর রশিদ বাড়ির পাশের গাজীরবাগ জামে মসজিদ পরিষ্কার করছিলেন। তিনি ওই মসজিদের ইমাম। এ সময় তার দুই ছেলেও তার সঙ্গে ছিল। কোনো এক সময় এক ভাই পানিতে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে অপর ভাই পানিতে ঝাপ দেয়। এতে দুই...

2

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় মসজিদের পুকুরে ডুবে আপন দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের গাজীরবাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাতে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নিহতরা হলেন- কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের গাজীরবাগ গ্রামের হাসান আলী জমাদার বাড়ির ইমাম মো. হারুনুর রশিদের ছেলে হামিম হোসেন হামদান (৭) ও মো. হাসান (৬)।

জানা যায়, মো. হারুনুর রশিদ বাড়ির পাশের গাজীরবাগ জামে মসজিদ পরিষ্কার করছিলেন। তিনি ওই মসজিদের ইমাম। এ সময় তার দুই ছেলেও তার সঙ্গে ছিল। কোনো এক সময় এক ভাই পানিতে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে অপর ভাই পানিতে ঝাপ দেয়। এতে দুই ভাই পানিতে ডুবে যায়। দীর্ঘক্ষণ তাদের খবর না পেয়ে আশপাশে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে মসজিদের পুকুরে তাদের ভাসতে দেখে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন শাহিন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শিশু দুইটির বাবা মসজিদ পরিষ্কারের কাজে ব্যক্ত ছিল। ওই সময় এক ভাই পুকুরের পানিতে পড়ে গেলে আরেক ভাই তাকে বাঁচাতে গেলে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়।

কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স টিটু গণমাধ্যমকে বলেন, আপন দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কে কাকে দেবে সান্ত্বনা সবাই শোকে শোকাহত।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।