বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
“আমন ধান সংগ্রহ অভিযান নির্বিঘ্ন রাখতে কর্মকর্তাদের বদলি স্থগিত” সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল রাতে মাঠে মুখোমুখি লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদ দেখবেন যেভাবে নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন কে, আর জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? মেহেরপুর-২ আসনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ “চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করেও বিএনপির অস্তিত্ব মুছে ফেলা যায়নি” মাজার জিয়ারত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন ইলিয়াসপত্নী লুনা মিশরের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মির্জা ফখরুল নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় যে ৫টি সাধারণ ভুল মানুষ প্রায়ই করে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার পরিত্যক্ত নৌঘাঁটি পুনরায় সংস্কারের কাজ করছে

প্লেনে উঠা জুনায়েদের আরো একটি স্বপ্ন পূরণ

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৩১৯ Time View
14

পাসপোর্ট, ভিসা, টিকেট কিংবা বোর্ডিং পাস ছাড়াই সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে প্লেনে উঠা জুনায়েদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।

জেলা প্রশাসকের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জুনায়েদের বাড়ির সামনে পারাপারের একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এতে জুনায়েদের আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হল। কয়েকদিন আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে গণশুনানীতে অংশ নিয়েছিল জুনায়েদ।

সেখানে সে নিজের পাইলট হওয়ার ইচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বাড়ির সামনের বাঁশের সাঁকোর বদলে মানুষের পারাপারের জন্য একটি কাঠের সেতু বা ওয়াকওয়ে বানানোরও আবদার জানায়।

জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম তার স্বপ্ন পূরণের জন্য গোপালগঞ্জ শিশু পরিবারে তার ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন এবং বাড়ির সামনে একটি ওয়াকওয়ে বা কাঠের সেতু তৈরি করে দেয়ার আশ্বাস দেন।

সে নির্দেশনা অনুযায়ী মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুনায়েদের বাড়ির সামনে বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেন। কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিয়ে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম তার আরেকটি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করায় জুনায়েদের সঙ্গে খুশি স্থানীয়রা।

দীর্ঘদিনের খাল পারাপারের যে সমস্যা ছিল, তা থেকে রেহাই পেয়ে জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সবাই। সেতু নির্মাণ করায় জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমকে ধন্যবাদ জানিয়ে জুনায়েদ বলে, ‘আমার আবদারে সেতু হওয়ায় আমি খুবই খুশি।

এলাকায় সবাই আমাকে এখন খুব ভালো বলছে।’ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন বলেন, পাইলট হওয়ার ইচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বাড়ির সামনের বাঁশের সাঁকোর বানানোর আবদার করেছিল জুনায়েদ। তার স্বপ্ন পূরণের জন্য বাড়ির সামনে বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।

পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিট কিংবা বোর্ডিং পাস ছাড়াই কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে চড়ে বসে ১২ বছর বয়সী শিশু জুনায়েদ মোল্লা। তারপরও এ ঘটনায় বিমানবন্দরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

জুনায়েদ মোল্লা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের পারইহাটি গ্রামের ইমরান মোল্লার ছেলে। সংবাদমাধ্যমে বেশ প্রচার হওয়ায় জুনায়েদের ঘটনাটি অনেকেরই জানা। সেদিন তার স্বপ্ন পূরণ না হলেও পরবর্তী সময়ে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে কক্সবাজারে বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাইলট হতে চাওয়া জুনায়েদের স্বপ্নের এক ধাপ পূরণ হয়।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category