বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
“আমন ধান সংগ্রহ অভিযান নির্বিঘ্ন রাখতে কর্মকর্তাদের বদলি স্থগিত” সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল রাতে মাঠে মুখোমুখি লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদ দেখবেন যেভাবে নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন কে, আর জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? মেহেরপুর-২ আসনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ “চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করেও বিএনপির অস্তিত্ব মুছে ফেলা যায়নি” মাজার জিয়ারত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন ইলিয়াসপত্নী লুনা মিশরের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মির্জা ফখরুল নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় যে ৫টি সাধারণ ভুল মানুষ প্রায়ই করে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার পরিত্যক্ত নৌঘাঁটি পুনরায় সংস্কারের কাজ করছে

মাদারীপুরে বিষধর সাপের কামড়ে ১০ বছরের শিশুর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : শনিবার, ৮ জুলাই, ২০২৩
  • ৪২৮ Time View
4
মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের উল্লাবাড়ী গ্রামে বাদল মন্ডলের ছেলে বাঁধন মণ্ডল (১০) গতকাল বৃহস্পতিবার ৭ জুলাই ২০২৩, সন্ধ্যা সাতটা ৩০ মিনিটে বিষধর কাল কেউটে সাপের কামড়ে মৃ-ত্যু বরণ করে।
ঘটনা সূত্র জানা যায়,বাঁধন মন্ডল এবং তার ছোট ভাই সহ আরো কয়েকজন বাড়ির নিকটবর্তী বিলে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
ককবিলে প্রবেশ করার খানিকক্ষণ পরেই একটি কাল কেউটে সাপের গায়ের উপর তার পা পড়ে। সা-পটি তখনই তাকে দংশন করে। দংশন করা মাত্রই সে চিৎকার করে এবং তার সহযোগীরা সাপটিকে দেখতে পায়।
তারপর তারা তাকে কাঁধে করে বাড়ি নিয়ে আসে। এরপর স্থানীয় গ্রাম্য কথিত ওঝার দ্বারা তার চিকিৎসা চলে। চিকিৎসায় কোন উন্নতি না পেয়ে তাকে শানপুকুরিয়া রবিন ওঝার কাছে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়।
রবিন ওঝা তার শারীরিক অবস্থা দেখে চিকিৎসা করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। তখন তার স্বজনেরা তাকে গোপালগঞ্জ মেডিকেল হসপিটালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃ-ত ঘোষণা করে।
গ্রাম্য কুসংস্কারে আচ্ছন্ন গ্রামবাসীদের তৎপরতায় আজ সকাল দশটার সময় মৃ-ত সন্তানকে বাঁচানোর আশায় তার বাবা-মা তাকে পুনরায় গোপালগঞ্জ জেলার ডোমরাসুর গ্রামের কোন এক ওঝার কাছে নিয়ে যায়। কথিত সেই ওঝা চিকিৎসা দেওয়ার পরে আধা ঘন্টার সময় নেন। যদি আধা ঘন্টার মধ্যে সে জীবিত হয়ে ওঠে তাহলে সে বেঁচে যাবে এই আশ্বাস দেন তিনি।
কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না মৃত বাধন আর জীবিত হয়ে উঠল না। বাবা মায়ের কোল খালি করে চলে গেল না ফেরার দেশে।
সর্প দংশনের পর রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিনের জন্য যোগাযোগ করা হলে সেখানেও ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি। যদি সেখানে ভ্যাকসিন পাওয়া যেত তাহলে হয়তো আজকে বাঁধন বেঁচে যেত। বাঁধনের বাবা-মা কান্না জড়িত কন্ঠে সেই কথাই জানিয়েছে সাংবাদিকদের।
ওখানকার স্থানীয় জনগণ জানিয়েছেন যদি দেশের প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সা-পের কামড়ের এন্টিভেনাম পাওয়া যেত তাহলে হয়তো এভাবে আর কোন বাবা মার কোল খালি করে কোন সন্তানকে না ফেরার দেশে যেতে হোত না।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category