বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
“আমন ধান সংগ্রহ অভিযান নির্বিঘ্ন রাখতে কর্মকর্তাদের বদলি স্থগিত” সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল রাতে মাঠে মুখোমুখি লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদ দেখবেন যেভাবে নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন কে, আর জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? মেহেরপুর-২ আসনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ “চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করেও বিএনপির অস্তিত্ব মুছে ফেলা যায়নি” মাজার জিয়ারত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন ইলিয়াসপত্নী লুনা মিশরের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মির্জা ফখরুল নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় যে ৫টি সাধারণ ভুল মানুষ প্রায়ই করে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার পরিত্যক্ত নৌঘাঁটি পুনরায় সংস্কারের কাজ করছে

মাদারীপুরে হত্যা মামলায় সব আসামীর খালাস হওয়ায় ক্ষুব্ধ বাদীপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩
  • ৩১৪ Time View
10
মাদারীপুরে ২০০৪ জাকির হোসেন হত্যা মামলায় চার্জশীটভুক্ত সব আসামীকেই খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল হোসেন এই রায় দেন। এতে আসামীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও ক্ষোভ জানিয়েছেন বাদীপক্ষ।
খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, শিবচর উপজেলার দ্বিতীয়খন্ড ইউনিয়নের মাদবরকান্দি গ্রামের মৃত রশিদ মোড়লের ছেলে গোলাম মাওলা (৪২), চরকাচিকাটা গ্রামের আদেল উদ্দিন শেখের ছেলে রব শেখ (৪৫), একই গ্রামের সেকান ফকিরের ছেলে লিটন ফকির (৬২), মাদবরকান্দি গ্রামের আব্দুল হামেদ দড়ির ছেলে দলিল উদ্দিন দড়ি (৭০) ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিম দড়ির ছেলে মো. বাদশা দড়ি (৬৫)।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ মে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দ্বিতীয়খন্ড ইউনিয়নের মাদবরকান্দি গ্রামের এসকেনদার আলীর ছেলে জাকির হোসেন বাড়ি থেকে শিবচর বাজার এলাকায় অবস্থিত শ^শুরবাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়। পরে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। এরপর দুইদিন পর ২৩ মে শিবচর উপজেলার বিলপদ্মা নদীর কেরানিবাট এলাকায় বস্তাবন্দি মস্তকবিহীন এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের লোকজন জাকিরের লাশ শনাক্ত করলে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ। ওইদিনই অজ্ঞাতদের আসামী করে জাকিরের বাবা এসকেনদার আলী বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তৎকালীন শিবচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী তদন্ত শেষে গোলাম মাওলা, রব শেখ, লিটন ফকির, দলিল উদ্দিন দড়ি ও মো. বাদশা দড়িকে অভিযুক্ত করে ২০০৪ সালের ৩০ জুন আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
অভিযুক্তপত্রে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা আসামীরা জুয়া খেলার ৮০ হাজার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে জাকিরকে কুপিয়ে হত্যা করেন। লাশ শনাক্ত করতে যেন না পারে এজন্য আসামীরা জাকিরের মস্তকবিহীন করে বস্তায় ইটবোঝাই করে লাশটি বিলপদ্মা নদীতে ফেলে দেয়। বিভিন্ন সময় আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসারসহ ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। যুক্তিতর্ক ও দীর্ঘ আইনী প্রক্রিয়া শেষে দোষ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত অভিযুক্ত ৫ জনকেই খালাস দেন। মামলা চলাকালীন সময় আসামী দলিলউদ্দিন দড়ি মারা গেলেও রায় ঘোষণার সময় বাকি ৪ আসামী উপস্থিত ছিলেন। রায়ে আসামীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও ক্ষোভ জানিয়েছেন বাদীপক্ষ।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, এমন একটি হত্যা মামলায় সব আসামীর খালাস মেনে নেয়া যায়না। রায়ের কপি হাতে পেলে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
এ বিষয়ে আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়া বলেন, আসামীপক্ষ উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ আদালতে হাজির করতে পারেনি। সবকিছু বিবেচনা করে আদালতে সঠিক রায় দিয়েছে। এই রায়ে আমরা আসামীপক্ষ সন্তোষ। এখানে ন্যায়ের বিচার হয়েছে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category