সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শার্শায় হ্যান্ডকাফ পরানোর সময় মাদক ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতে পুলিশ কনস্টেবল আহত অনলাইনে প্রেম কলেজছাত্রী ভারতে পাচার শাল্লায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর এক ডিলারের বিরুদ্ধে সরকারী জায়গায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ মুকসুদপুরে গণপিটুনিতে গরুচোর নিহতের ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার, আতঙ্কে পুরুষশূন্য চার গ্রাম সাড়ে তিন ঘণ্টা পর আবারও সচল হলো বরিশাল–ঢাকা মহাসড়ক সিলেটে ৩০ একর খাসজমি উদ্ধার করা হয়েছে, পাশাপাশি দখল ও বিক্রয়চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নে তৃপ্তির গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে জনসমুদ্র শার্শায় ৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে মাওলানা আজীজুর রহমানের শক্তিপ্রদর্শন শোকবার্তা রংপুর-৩ আসনে নির্বাচন অংশগ্রহণের প্রস্তুতি উপলক্ষে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রিতা রহমান

লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর কারাদণ্ড

 সোহেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর
  • Update Time : বুধবার, ২০ জুলাই, ২০২২
  • ২৫৯ Time View
45

লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলাতে মাথায় আঘাতের পর পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে ফাতেমা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী মো. শাহজাহানের আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শাহজাহান নোয়াখালীর চর জব্বার থানার চরজবলু ইউনিয়নের চরবাগ্যা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, আদালতে স্ত্রী হত্যায় শাহজাহান দোষী প্রমাণিত হয়েছে। বিচারক তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন।

রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ইং সালের ২৮ জুলাই রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামের মৃত আকবর আলীর মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে শাহজাহানের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তখন প্রায় ১ লাখ টাকার মালামাল কিনে শাহজাহানদের দেওয়া হয়।

বিয়ের কিছুদিন যাওয়ার পর ফাতেমাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য চাপ দেন। যৌতুক না পেয়ে বিভিন্ন সময় তাকে নির্যাতনও করা হয়। একই বছর ২১ আগস্ট শাহজাহানকে নিয়ে ফাতেমা তার বড়বোন রাশেদা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যান। পরদিন সকালে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ওই বাড়ির পুকুরে গোসল করতে যান।

এরপর থেকে দুজনের কেউই ঘরে ফিরে যাননি। রাশেদা তাদের খুঁজতে বের হন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পুকুরের ভাসমান অবস্থায় ফাতেমার মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

একইদিন ফাতেমার ভাই মো. মহিউদ্দিন বাদী হয়ে রামগতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই দিকে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রথমে ফাতেমার মাথায় আঘাত করা হয়। পরে তাকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

২০১৮ সালের ১৯ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রামগতি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল হাই আদালতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও ১০দশ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category
Adsense