
তারপর তাপমাত্রা কমতে পারে। আজ রবিবার (১৭ জুলাই) টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাথার ওপর সূর্য উত্তর পশ্চিমে হেলে পড়েছে। খালি চোখে সামনের দিকে তাকানো যায় না। এছাড়াও অনেক দিন মজুর গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছেন। কেউ বা একটু স্বস্তির জন্য মাথায় পানি ঢালছেন।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে থাকা যাত্রীদের। কাউকে বাসে আবার খোলা ট্রাক পিকআপে বসে হাত পাখা দিয়ে বাতাস করতে দেখা গেছে। টাঙ্গাইল সদরে বেশকিছু এলাকা ঘরে কালিবাড়ি রোড, পূর্ব আদালত পাড়, থানা পাড়া পথচারি ও বিভিন্ন শ্রেনী মানুষদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে প্রচুর রোদ ও গরম।
বাতাস তেমন নেই। মনে হচ্ছে রোদে শরীরের চামড়ার উপরের অংশ পুড়ে গেছে। গরমে কষ্ট হওয়ার কারণে কোন কিছুতেই শান্তি পাই না। দিনমজুর রশিদ মিয়া বলেন, রোদে ১০ মিনিট কাজ করলে ২০ মিনিট গাছের নিচে বসে থাকতে হয়। গরমের কারণে বসে থেকেও শান্তি নেই।
কোথাও টিকতে পারছি না। পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়া এলাকার গৃহবধূ রোজিনা বেগম বলেন, প্রখর রোদের কারণে গরম বেশী। আর গরমে ঘরে বসে ফ্যানের নিচে থেকেও শান্তি নেই। বিদ্যুৎ চলে গেলে আমার তিন বছরের ছেলে ও ৭০ বছর বয়সী শ্বাশুড়ির খুব কষ্ট হয়।
টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিসের বজলুর রশিদ বলেন,পাঁচ ছয় দিন ধরে টাঙ্গাইলের তাপমাত্রা ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরও দুই থেকে তিন দিন টাঙ্গাইলে এরকম রোদ ও তাপমাত্রা থাকবে। আর আবহাওয়া ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েকদিনে মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে এরপর হয়তো স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পাবো।