সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শার্শায় হ্যান্ডকাফ পরানোর সময় মাদক ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতে পুলিশ কনস্টেবল আহত অনলাইনে প্রেম কলেজছাত্রী ভারতে পাচার শাল্লায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর এক ডিলারের বিরুদ্ধে সরকারী জায়গায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ মুকসুদপুরে গণপিটুনিতে গরুচোর নিহতের ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার, আতঙ্কে পুরুষশূন্য চার গ্রাম সাড়ে তিন ঘণ্টা পর আবারও সচল হলো বরিশাল–ঢাকা মহাসড়ক সিলেটে ৩০ একর খাসজমি উদ্ধার করা হয়েছে, পাশাপাশি দখল ও বিক্রয়চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নে তৃপ্তির গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে জনসমুদ্র শার্শায় ৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে মাওলানা আজীজুর রহমানের শক্তিপ্রদর্শন শোকবার্তা রংপুর-৩ আসনে নির্বাচন অংশগ্রহণের প্রস্তুতি উপলক্ষে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রিতা রহমান

রাজৈরে ঈদকে সামনে রেখে কামার শ্রমিকদের বেড়েছে ব্যস্ততা

মাহামুদুল হাসান, মাদারীপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : শনিবার, ৯ জুলাই, ২০২২
  • ২৮০ Time View
41

কামাড়ের টুংটাং শব্দ যেন জানান দিচ্ছে আর কিছুক্ষণ পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস সাইজ করতে ছুরি, চাপাতি, দা, বটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। সেগুলো সংগ্রহ এবং প্রস্তুত রাখতে এখন সবাই ব্যস্ত। আর এ উপকরণ তৈরি ও শান বা লবণ-পানি দেওয়ার কাজে প্রয়োজন কামারদের। পশু কোরবানির দা, ছুরি ও চাপাতিসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে এখন থেকেই মানুষ কামাড় পাড়ায় ঢু-মারছেন। আবার কেউ কেউ পুরানো সরঞ্জাম মেরামত অথবা শান দিয়ে নিচ্ছেন।

প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব, আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প। পাশাপাশি কয়লা আর কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের পরিমাণ কমেছে বলেও জানায় কর্মকর্তারা । বর্তমান আধুনিক যন্ত্রাংশের প্রভাবে কামার শিল্পের দুর্দিন চললেও পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠে এ শিল্প। শান দেয়া নতুন দা, বঁটি, ছুরি ও চাকু সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানের সামনে। ভিতরে চলছে কাজ। দোকানের জ্বলন্ত আগুনের তাপে শরীর থেকে ঝরছে অবিরাম ঘাম। চোখে মুখে প্রচন্ড ক্লান্তির ছাপ। তবু থেমে নেই তারা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কাজের ব্যস্ততা।

ঈদুল-আজহা সামনে রেখে রাজৈর উপজেলার কামার দোকানগুলিতে মোটামুটি ব্যস্ত সময় পার করছে কর্মকাররা। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সেখানে লোহা আর হাতুড়ির শব্দে এখন আকাশ-বাতাস মুখরিত। এ পেশার মানুষ সারা বছর কমবেশি লোহার কাজ করলেও ঈদুল আজহা সামনে রেখে বৃদ্ধি পায় তাদের কর্ম ব্যস্ততা। ভোর থেকে শুরু করে রাত অবধি চলছে তাদের রকমারি কর্মযজ্ঞ।

একাধিক কামাররা জানান, দা আকৃতি ও লোহাভেদে ২০০ থেকে ৫০০টাকা, ছুরি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা, চাকু প্রতিটি সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, হাড় কোপানোর চাপাতি প্রতিটি ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং পুরানো দা, বটি, ছুড়ি শান দিতে বা লবন-পানি দিতে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। কয়রার আমাদী বাজারের একাধিক কর্মকাররা জানান,এ বছর কাজ খুব কম। তার মধ্যে দিয়েই কাজ করছে বাংলার এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী জাত পেশার কারিগর কর্মকাররা।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category
Adsense