মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শার্শায় হ্যান্ডকাফ পরানোর সময় মাদক ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতে পুলিশ কনস্টেবল আহত অনলাইনে প্রেম কলেজছাত্রী ভারতে পাচার শাল্লায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর এক ডিলারের বিরুদ্ধে সরকারী জায়গায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ মুকসুদপুরে গণপিটুনিতে গরুচোর নিহতের ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার, আতঙ্কে পুরুষশূন্য চার গ্রাম সাড়ে তিন ঘণ্টা পর আবারও সচল হলো বরিশাল–ঢাকা মহাসড়ক সিলেটে ৩০ একর খাসজমি উদ্ধার করা হয়েছে, পাশাপাশি দখল ও বিক্রয়চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নে তৃপ্তির গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে জনসমুদ্র শার্শায় ৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে মাওলানা আজীজুর রহমানের শক্তিপ্রদর্শন শোকবার্তা রংপুর-৩ আসনে নির্বাচন অংশগ্রহণের প্রস্তুতি উপলক্ষে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রিতা রহমান

মণিরামপুরে হামলা চালিয়ে চারটি দোকান ভাংচুর করে দখলের অভিযোগ

নুরুল হক, মনিরামপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : শনিবার, ২৮ মে, ২০২২
  • ৩১৮ Time View
48

মণিরামপুরে শ্যামকুড় ইউনিয়নের ফকিররাস্তা বাজারে হামলা চালিয়ে শনিবার দিনে দুপুরে চারটি দোকান ভাংচুরের পর দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দখলের সময় বাঁধা দিতে আসলে সন্ত্রাসীরা মারপিটে আহত করে তিন নারীসহ চার জনকে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দখলকারীদের সেখান থেকে হটিয়ে দেয়। তবে অভিযোগ রয়েছে সন্ধ্যার দিকে আবারও দখল করা হয়। এ ব্যাপারে সাতজনের নাম উল্লেখসহ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
মণিরামপুর থানার এসআই আবদুল মান্নান ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার হাসাডাঙ্গা গ্রামের মকবুল হোসাইনের ছেলে ইনামুল হোসাইন ও ইকরামুল হোসাইন ২০১৯ সালে ফকিররাস্তা বাজারে প্রায় সাত শতক জমি ক্রয় করে সেখানে ১০ টি দোকানঘর নির্মান করে ভাড়া দেয়। অপরদিকে একই গ্রামের ইনাম মোড়লের সৌদি প্রবাসী ছেলে তৌহিদুর রহমান ওই দোকান সমুহের পিছনে চলতি বছর ১১ শতক জমি ক্রয় করেন। অভিযোগ রয়েছে পিছনের জমিতে যাওয়ার জন্য তৌহিদ প্রায়ই ইনামুল ও ইকরামুলকে চাপ প্রয়োগ করে তাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মানের জন্য। কিন্তু ইনামুল ও ইকরামুল অস্বীকৃতি জানালে তৌহিদের বড়ভাই বাবু মোড়লের নেতৃত্বে গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সবুজ, শের আলী, আলম, খলিল, সহ এলাকার চিহ্নিত ৮/৯ জন সন্ত্রাসী লাঠিসোটা, লোহার রড, রামদা নিয়ে চারটি দোকানে হামলা চালিয়ে জোরপূর্বক ব্যবসায়ীদের(ভাড়াটিয়া) নামিয়ে দেয়।
এ সময় বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা জমির মালিক ইনামুল ও তার মা শ্যামকুড় পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে আয়া তাছলিমা খাতুন, স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন, বড়ভাবি দূর্বাডাঙ্গা পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের আয়া পলি বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে। পরে সন্ত্রাসীরা ওই চারটি দোকান ভাংচুরের পর দখল করে। এ সময় ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) ফোন করলে থানার এসআই আবদুল মান্নান ও এসআই মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের দুইটি টিম গিয়ে সেখান থেকে দখলকারীদের হটিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে ইনামুল হোসইন বাদি হয়ে বিকেলে বাবু মোড়ল, সবুজ আহম্মদ, শের আলী, আলম, খলিলসহ সাতজনের নাম উল্লেখসহ লিখিত অভিযোগ করেন। তবে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বাবু মোড়াল জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা নির্মানের জন্য ইনামুল ও ইকরামুলের কাছে একটু জমি চাওয়া হচ্ছিল।ইকরামুল হোসাইন ও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, থানায় অভিযোগ করার পর সন্ত্রাসীরা সন্ধ্যার দিকে ভাংচুরকৃত ওই চারটি দোকান পুনরায় দখলে নিয়ে সেখানে রাস্তা নির্মান শুরু করেন।

মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category
Adsense