বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
“আমন ধান সংগ্রহ অভিযান নির্বিঘ্ন রাখতে কর্মকর্তাদের বদলি স্থগিত” সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল রাতে মাঠে মুখোমুখি লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদ দেখবেন যেভাবে নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন কে, আর জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? মেহেরপুর-২ আসনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ “চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করেও বিএনপির অস্তিত্ব মুছে ফেলা যায়নি” মাজার জিয়ারত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন ইলিয়াসপত্নী লুনা মিশরের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মির্জা ফখরুল নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় যে ৫টি সাধারণ ভুল মানুষ প্রায়ই করে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার পরিত্যক্ত নৌঘাঁটি পুনরায় সংস্কারের কাজ করছে

মণিরামপুরে হামলা চালিয়ে চারটি দোকান ভাংচুর করে দখলের অভিযোগ

নুরুল হক, মনিরামপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : শনিবার, ২৮ মে, ২০২২
  • ৩০১ Time View
12

মণিরামপুরে শ্যামকুড় ইউনিয়নের ফকিররাস্তা বাজারে হামলা চালিয়ে শনিবার দিনে দুপুরে চারটি দোকান ভাংচুরের পর দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দখলের সময় বাঁধা দিতে আসলে সন্ত্রাসীরা মারপিটে আহত করে তিন নারীসহ চার জনকে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দখলকারীদের সেখান থেকে হটিয়ে দেয়। তবে অভিযোগ রয়েছে সন্ধ্যার দিকে আবারও দখল করা হয়। এ ব্যাপারে সাতজনের নাম উল্লেখসহ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
মণিরামপুর থানার এসআই আবদুল মান্নান ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার হাসাডাঙ্গা গ্রামের মকবুল হোসাইনের ছেলে ইনামুল হোসাইন ও ইকরামুল হোসাইন ২০১৯ সালে ফকিররাস্তা বাজারে প্রায় সাত শতক জমি ক্রয় করে সেখানে ১০ টি দোকানঘর নির্মান করে ভাড়া দেয়। অপরদিকে একই গ্রামের ইনাম মোড়লের সৌদি প্রবাসী ছেলে তৌহিদুর রহমান ওই দোকান সমুহের পিছনে চলতি বছর ১১ শতক জমি ক্রয় করেন। অভিযোগ রয়েছে পিছনের জমিতে যাওয়ার জন্য তৌহিদ প্রায়ই ইনামুল ও ইকরামুলকে চাপ প্রয়োগ করে তাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মানের জন্য। কিন্তু ইনামুল ও ইকরামুল অস্বীকৃতি জানালে তৌহিদের বড়ভাই বাবু মোড়লের নেতৃত্বে গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সবুজ, শের আলী, আলম, খলিল, সহ এলাকার চিহ্নিত ৮/৯ জন সন্ত্রাসী লাঠিসোটা, লোহার রড, রামদা নিয়ে চারটি দোকানে হামলা চালিয়ে জোরপূর্বক ব্যবসায়ীদের(ভাড়াটিয়া) নামিয়ে দেয়।
এ সময় বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা জমির মালিক ইনামুল ও তার মা শ্যামকুড় পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে আয়া তাছলিমা খাতুন, স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন, বড়ভাবি দূর্বাডাঙ্গা পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের আয়া পলি বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে। পরে সন্ত্রাসীরা ওই চারটি দোকান ভাংচুরের পর দখল করে। এ সময় ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) ফোন করলে থানার এসআই আবদুল মান্নান ও এসআই মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের দুইটি টিম গিয়ে সেখান থেকে দখলকারীদের হটিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে ইনামুল হোসইন বাদি হয়ে বিকেলে বাবু মোড়ল, সবুজ আহম্মদ, শের আলী, আলম, খলিলসহ সাতজনের নাম উল্লেখসহ লিখিত অভিযোগ করেন। তবে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বাবু মোড়াল জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা নির্মানের জন্য ইনামুল ও ইকরামুলের কাছে একটু জমি চাওয়া হচ্ছিল।ইকরামুল হোসাইন ও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, থানায় অভিযোগ করার পর সন্ত্রাসীরা সন্ধ্যার দিকে ভাংচুরকৃত ওই চারটি দোকান পুনরায় দখলে নিয়ে সেখানে রাস্তা নির্মান শুরু করেন।

মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category