বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
“আমন ধান সংগ্রহ অভিযান নির্বিঘ্ন রাখতে কর্মকর্তাদের বদলি স্থগিত” সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল রাতে মাঠে মুখোমুখি লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদ দেখবেন যেভাবে নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন কে, আর জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? মেহেরপুর-২ আসনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ “চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করেও বিএনপির অস্তিত্ব মুছে ফেলা যায়নি” মাজার জিয়ারত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন ইলিয়াসপত্নী লুনা মিশরের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মির্জা ফখরুল নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় যে ৫টি সাধারণ ভুল মানুষ প্রায়ই করে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার পরিত্যক্ত নৌঘাঁটি পুনরায় সংস্কারের কাজ করছে

লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে রোগীদের এক্সরে বন্ধ আছে

সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০২২
  • ৩৮১ Time View
10

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে গত ২১ দিন ধরে রোগীদের এক্স-রে করানো বন্ধ আছে। ফিল্ম সংকট থাকায় প্রতিদিন অর্ধশতাধিক রোগী ফিরে যাচ্ছেন এক্স-রে সুবিধা না পেয়ে।

অন্যদিকে, চিকিৎসক না থাকায় গত দেড় মাস ধরে আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিনটিও বন্ধ রয়েছে। ফলে বাইরের প্যাথলজি বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বেশি টাকায় এক্স-রে এবং আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে হচ্ছে। ব্যয়বহুল এই পরীক্ষাগুলো করাতে গিয়ে অনেক সাধারণ রোগীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, অচিরেই এ সংকট নিরসন হয়ে যাবে।

হাসপাতালে দেখা গেছে, সদর হাসপাতালের এক্স-রে কক্ষের তালা ঝুলছে। দরজায় লিখে দেওয়া হয়েছে ‘এক্স-রে ফিল্ম সরবরাহ না থাকায় আপাতত এক্স-রে করানো সম্ভব হইতেছে না’।

এছাড়া আল্ট্রাসনোগ্রাফি চিকিৎসক না থাকায় সে কক্ষটিও বন্ধ দেখা যায়। হাসাপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০-২১ দিন ধরে এক্স-রে ফিল্মের সরবরাহ নেই। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে প্রতিদিন ৭০-১০০ জনকে এক্স-রে পরীক্ষা দেওয়া হয়।

বিশেষ করে সড়ক দুর্ঘটনা এবং মারামারির রোগীদের প্রয়োজন বুঝে এক্স-রে করাতে হয়। এই ছাড়া বিগত দেড় মাস ধরে আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিনটিও বন্ধ আছে। সপ্তাহে তিনদিন আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানোর সুবিধা পেতেন রোগীরা। কিন্ত এই কাজে নিয়োজিত চিকিৎসক উন্নত প্রশিক্ষণে চলে যাওয়ায় পদটি খালি পড়ে আছে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আবুল কালাম নামে একজন রোগী জানান, তিনি বুকে ব্যথার জন্য হাসপাতালের চিকিৎসককে দেখিয়েছেন। চিকিৎসক তাকে বুকের এক্স-রে করাতে বলেছেন।

হাসপাতালে এক্স-রে না করানোর কারণে তাকে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এক্স-রে করিয়ে নিতে হবে। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এক্স-রে করানোর জন্য আপাতত ফিল্ম নেই। তবে হাসাপাতালের মালামালের টেন্ডার এবং ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গেছে।

যে কোনো মুহূর্তে ফিল্ম চলে আসবে। আর আল্ট্রাসনোগ্রাফি চিকিৎসক না থাকায় সেটি বন্ধ আছে। ওই পদে চিকিৎসক এলে রোগীরা আল্ট্রাসনোগ্রাফি সুবিধা পাবেন

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category